মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক অবকাঠামো ও জরুরি সেবা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ৫৮.৬ মিলিয়ন ডলারের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এডিএফ) অনুদান এবং ২৮.১ মিলিয়ন ডলারের স্বল্পসুদে ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং স্বাক্ষর করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, “মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ও আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্থিতিশীলতা ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ জোরদারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই প্রকল্প সামাজিক সংহতি বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।”
নতুন এই অনুদান ‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড পিপল ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিজ ইমপ্রুভমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কার্যকর হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য, সড়ক ও সেতু, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ এবং দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে সোলার-স্ট্রিটলাইট স্থাপন, ভাসানচরে পয়ঃনিষ্কাশন পুনঃস্থাপন, রান্নার জন্য বায়োগ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি, ড্রেনেজ খাল পুনঃস্থাপন এবং খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করা হবে।
এছাড়া, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য হাতিয়ায় বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় ক্ষুদ্র পাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু এবং পালংখালী ও উখিয়ায় পরিশোধিত পানি সরবরাহের জন্য পানি শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
কক্সবাজারের ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ বাস করছে, যার প্রায় ৭৫% নারী ও শিশু। এছাড়া নোয়াখালীর ভাসানচরে ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হয়েছে।
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :