ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিকে আবারও চিঠি দিল এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক | অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিকে আবারও চিঠি দিল এনসিপি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আবারও শাপলা প্রতীক বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে দলটি মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইসি সচিব বরাবর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠায়। চিঠির সঙ্গে দলটি শাপলার সাতটি নমুনা প্রতীক সংযুক্ত করেছে।

 

চিঠিতে এনসিপি জানায়, জনগণের সঙ্গে শাপলা প্রতীকের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ প্রতীক ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প প্রতীক গ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এনসিপি তাদের চিঠিতে প্রতীক তালিকাভুক্তি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে হওয়া আলোচনার ধারাবাহিকতা তুলে ধরে জানায়—

প্রতীক তালিকা প্রণয়ন: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নেয়।

এনসিপির দাবি, সংশ্লিষ্ট কমিটি ১৫০টি প্রতীক নিয়ে একটি খসড়া তালিকা তৈরি করে এবং গত ৪ জুন ইসির এক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে তাদের জানানো হয় যে ‘শাপলা’ প্রতীক তালিকায় রয়েছে।

পরে ২২ জুন এনসিপি নিবন্ধনের আবেদন করে এবং ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের আবেদন জানায়। ৩ আগস্ট তারা পুনরায় প্রতীক পছন্দক্রমে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা উল্লেখ করে চিঠি পাঠায়।

এনসিপির অভিযোগ, তাদের ৩ আগস্ট ও ২৪ সেপ্টেম্বরের আবেদন নিষ্পত্তি না করেই কমিশন ৩০ সেপ্টেম্বর একটি নতুন চিঠি পাঠায়, যা দলের দাবি অনুযায়ী “বিধিসম্মত নয়”।

দলটি জানায়, সুপ্রিম কোর্টের ১০১ জন সিনিয়র আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেছেন, শাপলা প্রতীক বরাদ্দে কোনো আইনি বাধা নেই। এমনকি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানও এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন— “শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়াটা বড় কোনো আইনি জটিলতা নয়; এটি দেওয়া যেতেই পারে।”
এছাড়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাও এনসিপির অনুকূলে শাপলা প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

এনসিপির মতে, শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করা আইনি বা বিধিসম্মত কারণে নয়, বরং এটি ইসির “স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতমূলক আচরণের” বহিঃপ্রকাশ। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এই অবস্থান প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

চিঠিতে এনসিপি অভিযোগ করেছে, ইসি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করছে এবং প্রতীক না দিয়ে “বৈষম্যমূলক ও আইনবহির্ভূত আচরণ” করছে। দলের দাবি, এর মাধ্যমে এনসিপিকে নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” তৈরির ইসির সদিচ্ছাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

সবশেষে এনসিপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৯(১) সংশোধন করে তাদের অনুকূলে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা — এই তিনটির যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ দিতে।

Side banner
Link copied!