মৃত্যু আতঙ্ক নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অফিস করছে একুশ সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ১৯৪০ ব্রিটিশ সরকারের নির্মান করা কাশিয়ানী সাব-রেজিস্ট্রার অফিস টি চরম ঝুকিপূর্ন হবার পরেও তা এখনো পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস পরিত্যাক্তের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি পাঠায় কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর, যার ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়েই অফিস করতে হচ্ছে ২১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে এছাড়া এখাানে সেবা নিতে আসা মানুষ ও দলিল লেখকরা রয়েছে এই ঝুকির মধ্যে, ৮৫ বছরের মধ্যে দুইবার ভবনটি সংস্কার করা হলেও নতুন ভবন নির্মানে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সরকার নির্মান করে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভবনটি, পচাশি বছরে মাত্র দুইবার ভবনটি সংস্কার হলেও জরাজীর্ন এই ভবন এখনো পরিত্যাক্ত ঘোষনা না করায় ধ্বস আতঙ্ক ও মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে এখানে প্রতিনিয়ত অফিস করছে ২১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে আহত হবার ঘটনাও রয়েছে অনেক,, দুর থেকে দেখলে ভবনটি মনে হবে জঙ্গলের মধ্যে কোনো মানুষের বসবাস । আবার রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও দলিল পত্র পানি পড়ে নষ্ট হবার ঘটনা রয়েছে ।। প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে একই রুমে বসে কাজ করতে হচ্ছে অনেকের ।
উপজেলার চৌদ্দটি ইউনিয়নের মানুষ এখানে আসেন সেবা নিতে, কোথাও বসা বা দাড়ানোর জায়গা না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে এই ভবনেই ধ্বস আতঙ্ক থাকা সত্তেও সেবা নিতে হচ্ছে তাদের আবার দলিল লেখকরাও জীবনের ঝুকি নিয়ে এখানে কাজ করছেন,, তাদের দাবী এই সব মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অচিরেই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে নতুন একটি আধুনিক ভবন নির্মানের ।
কাশিয়ানী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা শাহ আব্দুল আরিফ বলেন জীবনের ঝুকি নিয়ে টানা বিশ বছর ধরে এখানে কাজ করতে হচ্ছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে ২০২২ সালে ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি পাঠালেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি ,এখানে  যারা সেবা নিতে আসে তারা এমন জীবনের ঝুকির মধ্যেই থাকে ।। ভবনটি নতুন করে নির্মান করা হলে জীবন ঝুকি থেকে মুক্তি পাবে বহু মানুষ ।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন- অচিরে তিনি ভবনটি পরিদর্শনে যাবেন, এবং জীবন ঝুঁকিতে থাকা সাধারন মানুষ দলিল লেখক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তার কথাটি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
কালের সমাজ//এ.জে

                                                
            
         
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
          
আপনার মতামত লিখুন :