চার মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই সরাসরি গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসভবনের পথে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা বেগম জিয়ার যাত্রাকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কজুড়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকেই প্রস্তুতি নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো কর্মী। তবে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি এড়াতে কর্মীদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৫ মে) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা যেন কোনোভাবেই পরীক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত না করি, সে বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করছি। রাস্তায় না নেমে ফুটপাতে পতাকা হাতে দাঁড়ান।”
দলের শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যমতে, লন্ডনে চিকিৎসা শেষে এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেত্রীর ফেরা নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। একাধিক সূত্র জানায়, তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান সোমবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদায় জানান খালেদা জিয়াকে। সেখান থেকে দোহা হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের সহায়তায় লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে দীর্ঘ চিকিৎসার পর দেশে ফেরা এই নেত্রীর স্বাগতকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রাজনৈতিক আবহে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে।
কালের সমাজ//এ.সং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :