মৌসুমের শুরুতে চাঁদপুর মাছঘাটে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকলেও হঠাৎ করেই আড়তে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে কয়েকগুণ। ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কেজিতে দাম কমেছে ২০০-৩০০ টাকা। আগে যেখানে দিনে ৫০-৬০ মণ ইলিশ আসতো ঘাটে, এখন আসছে ৪০০- ৫০০ মণ করে।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরগরম ছিল দেশের বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না। তবে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের সরবরাহ থাকায় হাঁকডাকে মুখর আড়ত। সকাল থেকে নদী ও সড়কপথে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ নিয়ে চাঁদপুর মাছঘাটে নিয়ে এসেছেন জেলেরা। যে কারণে দাম কমেছে ইলিশের।
চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ কিনতে আসা আব্দুল আহাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘাটে এসে প্রচুর ইলিশ দেখলাম। মাঝেমধ্যে আসি কিন্তু আজই জমজমাট বাজার দেখলাম। কিছুটা দাম কমেছে, তবে আরও কমা দরকার। আশা করি, সামনে ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দাম আমাদের নাগালের মধ্যে থাকবে।’
ইলিশ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, গত দুদিন ধরে ঘাটে কিছু ইলিশ আসতে শুরু করেছে। তবে চাহিদা তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে।
চাঁদপুুরের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২১০০-২২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকায়। আর ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০-২০০০ টাকায়।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, হঠাৎ করেই ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, যা দুদিন আগেও ছিল না। গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
তিনি আরও জানান, আজ ৪০০-৫০০ মণ ইলিশ এসেছে। কিন্তু সামনে যদি চলমান সরবরাহ না বাড়ে দাম কমার সম্ভাবনা কম। তবে এই সপ্তাহজুড়ে দাম কম থাকবে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :