ঠাকুরগাঁও জেলায় সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর যেন থামছেই না। জেলার প্রধান ও একমাত্র চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালেও সাপে কামড়ানোর একমাত্র প্রতিষেধক `এন্টিভেনম` না থাকায় প্রায়শই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে।
২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, ঠাকুরগাঁও জেলার মোট জনসংখ্যা ১৫,৩৩,৮৯৫ জন, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৬০ জন। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিই প্রধান ভরসা। সাথে পাশ্ববর্তী জেেলা পন্চগড় সহ দিনাজপুর জেলার বিরগন্জ উপজেলার রোগীরা।
জীবন রক্ষাকারী এই ওষুধটির অভাবে অসহায় হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরা, আর স্বজন হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্ষা মৌসুমে
সাম্প্রতিক সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রতিষেধকের অভাবে অনেক রোগীকে ঢাকা বা অন্যান্য বড় শহরে স্থানান্তরিত করতে বলা হচ্ছে, যা প্রায়শই সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেক সময় রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তারা অবিলম্বে হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক এন্টিভেনম সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। সচেতন মহল মনে করছে, ঠাকুরগাঁওবাসীর জীবন রক্ষার্থে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অন্যথায়, এই জেলায় সাপে কামড়ে মৃত্যুর মিছিল আরও দীর্ঘ হতে থাকবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাও আধুনিক সদর হাসপাতএর আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনজুরুল ইসলাম জানান ২০২২ সাল পর্যন্ত এই এন্টিভেনম সরবরাহ ছিল তা ২০২৪ সালের জুলাই এ শেষ হয় এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন সহ সর্বাতক যোগাযোগ চলমান রয়েছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :