ঢাকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

কুলিয়ারচরে শিক্ষিকাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

কালের সমাজ | কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম কুলিয়ারচরে শিক্ষিকাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় এক নারী শিক্ষকের ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক মো. এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামদী ইউনিয়নের বড়চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিতালি চক্রবর্তী নিজে বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের ভেতরে মিতালি চক্রবর্তীর সঙ্গে সহকর্মী বিলকিস আক্তার সোমার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোমা তার স্বামী এনামুল হককে খবর দেন। পরে এনামুল বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে গিয়ে সহকর্মী শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মিতালি চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালান এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় ভুক্তভোগীর স্বামী শশাংক গোস্বামী চয়ন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকেও মারধরের শিকার হতে হয়।

ঘটনার পর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি আপাতত মীমাংসা করলেও ভুক্তভোগী শিক্ষিকা দাবি করেন, তিনি নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি পাচ্ছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন।

অভিযুক্ত শিক্ষক এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার স্ত্রীর সঙ্গে সহকর্মীর বাকবিতণ্ডা হয়েছিল, পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়। তবে আমার বিরুদ্ধে যে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদসহ স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শিক্ষিকা মিতালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!