অবশেষে ব্যক্তি উদ্যোগে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ও পলাশ উপজেলার জিনারদি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জনগুরুত্বপূর্ণ অবহেলিত বরাব সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে বাদবরাব জামে মসজিদ প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা এর মধ্যে ৫শ মিটার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থ রাস্তা নিজ অর্থায়নে নির্মান কাজ শুরু করেন স্থানীয় এক প্রবাসী,যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুফল না পেয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এ রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রবাসী জজ মিয়া।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বরাব ও বাদবরাব নামক গ্রাম দুটির যোগাযোগ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। দুটি গ্রাম থেকে দেড় কিলোমিটার প্রায় ১০ মিনিটের রাস্তার জন্য ৮ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। দের কিলোমিটার রাস্তার মাঝে কোনো সংযোগ রাস্তা না থাকায় ওই দুটি গ্রামের মানুষকে সময় ব্যয় করে দীর্ঘপথ ঘুরে অনেক কষ্টে পার্শ্ববর্তী সড়কে পৌঁছতে হয়।
গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন থেকে বরাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাদবরাব জামে মসজিদ সংলগ্নস্থান পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি করে আসছিলো। এজন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অসংখ্যবার আবেদন দিয়ে ভুক্তভোগীরা শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। দীর্ঘদিন পর এলাকাবাসীর দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছেন এলাকার এক স্থানীয় প্রবাসী জজ মিয়া। তার নিজস্ব অর্থায়নে ৬ ফুট প্রস্থ ও ৫শ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ সম্প্রতি শুরু করা হয়েছে।
পাচঁদোনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, “আজ যে রাস্তাটির কাজ শুরু হলো, তা আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা। দীর্ঘদিন অবহেলিত এই গ্রামটির জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু প্রবাসী জজ মিয়া নিজের উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ শুরু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রবাসী জজ মিয়া বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য কারো কাছ থেকে একটি টাকাও আদায় করা হয়নি। গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পূর্ণ রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ জন্য আমাকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, এমনকি জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। কিন্তু এখন যখন এলাকার মানুষের মুখে হাসি দেখতে পাচ্ছি, তখন মনে হচ্ছে আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে।” রাস্তাটি নির্মাণের পর খুব সহজেই এলাকার বাসিন্দারা মুল সড়কে উঠতে পারবেন, এবং এলাকার স্কুল শিক্ষার্থীরা অল্প সময়ের মধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে পারবে ও অসুস্থ রোগীরা দ্রুত হাসপাতলে যেতে পারবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিনের অবহেলিত একটি রাস্তা, আমাদের এলাকার প্রবাসী জজ মিয়ার উদ্যোগে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, যা গ্রামীণ সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত । রাস্তার বাকী অংশ সরকারি উদ্যোগে দ্রুত নির্মাণের দাবি ও জানান এলাকাবাসী।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :