ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

ঘোড়াঘাটে ৪০টিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রস্তুত

কালের সমাজ | সাহারুল ইসলাম, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০১:০২ পিএম ঘোড়াঘাটে ৪০টিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রস্তুত

দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৪০টিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ,এ পর্যায়ে রয়েছে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় এ বছর ১ হাজার ২৭৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুত।এর মধ্যে দিনাজপুর সদর ১৬২ টি, বিরলে ৯৮টি, পার্বতীপুরে ১৬১, ফুলবাড়ীতে ৫৯, চিরিরবন্দরে ১৫৬, বোচাগঞ্জে ৭৮, খানসামায় ১৩৬, হাকিমপুরে ২০, বীরগঞ্জে ১৬৩, বিরামপুরে ৪১, নবাবগঞ্জে ৬৭, কাহারোলে ৯৪, দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এবাওে দিনাজপুর ১ হাজার ২৭৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উৎসব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সুশৃঙ্খল পরিবেশে পূজা উদযাপনে মণ্ডপ কমিটিগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাদের মোবাইল নম্বর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সরবরাহ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) সিফাত ই রাব্বিন জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে মণ্ডপগুলোকে ৩টি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। ৩৪৪টি মণ্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ৩৪৫টি মণ্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এবং ৫৮৬টি মণ্ডপ সাধারণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।সূত্রটি জানায়, এবারে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সফলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোতে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া মন্দির কমিটির দায়িত্বে স্বেচ্ছাসেবকগণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগী হিসেবে নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ তালিকাভুক্ত মণ্ডপগুলোতে একইভাবে পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ এবং স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করবেন।এছাড়া পূজা চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের টহল ব্যবস্থা থাকবে। কোনো মণ্ডপে দুষ্কৃতিকারী আটক হলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত করা হবে।  

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পূজা চলাকালীন সময়ে মনিটরিং কক্ষ স্থাপন করা হবে যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। মনিটরিং কক্ষের সঙ্গে জেলার সব পূজা মণ্ডপের মোবাইল ফোনে সংযোগ থাকবে। যে কোনো অঘটনার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক মনিটরিং কক্ষে অবহিত করলে প্রশাসনের ঝটিকা টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

গ্রাম-গঞ্জ বিভাগের আরো খবর

Link copied!