গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ডা. রেজাউল করিম নামে এক ভণ্ড ডাক্তারকে ৩ মাসের জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্ব মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন এবং গোপালগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা গেছে, রেজাউল করিম নামে এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রেসক্রিপশন করা, জটিল রোগের চিকিৎসা এবং এমনকি অস্ত্রোপচারও করে আসছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে মাতৃমৃত্যু, অঙ্গহানি, প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, রোগীর অর্থ অপচয়সহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তবে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন, গোপালগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদ এবং গোপালগঞ্জ জেলার ড্রাগ সুপার বিথী রানী মন্ডল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আকস্মিক একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় ভণ্ড রেজাউল করিমকে হাতে-নাতে রোগী দেখা অবস্থায় ধরা হয়। দেখা যায়, তিনি চিকিৎসক বা যথাযথ প্যারামেডিকেল ট্রেনিং না থাকা সত্ত্বেও নামের আগে ডাক্তার লিখে প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করছেন এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখছেন। এমনকি তার টিনের দোকানের মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিতেন। তিনি ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের দোকান পরিচালনা করছিলেন। তার দোকানে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও পাওয়া যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে বিভিন্ন ধারায় মোট ৩ মাসের জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। তার দোকান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আদমপুর গ্রামের একাধিক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারীরা ঘটনাস্থলে এলাকার সাধারণ জনগণের ব্যাপক বাধার মুখে পড়েন।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :