কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকরণশী গ্রামে ঘটে গেছে এক বিস্ময়কর ঘটনা। সদ্য প্রসব হওয়া গাভী ও তার বাছুর একইসাথে দুধ দিচ্ছে, যা দেখে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমেছে গ্রামের বাড়িতে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য তাৎক্ষকণিক একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।
গাভীর মালিক মো. হারুন অর রশিদ জানান, প্রায় দুই বছর আগে ৭৫ হাজার টাকায় তিনি গাভিটি ক্রয় করেন। গাভীটি সম্প্রতি একটি বাছুর প্রসব করেছে। আশ্চর্যের বিষয়, জন্মের প্রথম দিন থেকেই ওই বাছুরও দুধ দিতে শুরু করেছে।
গ্রামজুড়ে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। কেউ অবিশ্বাসের চোখে দেখছেন, কেউ আবার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ঘটনাটি।
স্থানীয় এক ব্যক্তি মিজানুর রহমান জানান, এরকম ঘটনা তারা জীবনে প্রথমবার প্রত্যক্ষ করছেন। একসাথে মা গাভী ও নবজাতক বাছুরের দুধ দেওয়া তাদের কাছে একেবারেই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম এম এ আউয়াল তালুকদার বলেন, “এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরল। সাধারণত জন্মের কয়েক বছর না হলে কোনো বাছুর দুধ দিতে সক্ষম হয় না। ফলে বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দাবি রাখে।”
তিনি আরও জানান, হরমোনজনিত কারণেই এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশেষত মিল্কবিট লেয়ারের হরমোন সক্রিয় হওয়ায় নবজাতক বাছুর দুধ দিতে শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাচ্চা ও মা গাভীর সর্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য ইতোমধ্যে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বাছুরের দুধ মানুষের খাবারের উপযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই দুধ অন্যান্য গাভীর দুধের মতোই স্বাভাবিক ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন।
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :