বান্দরবানের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট কেওক্রাডং ১ অক্টোবর থেকে খোলার ঘোষণা থাকলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা চাই বান্দরবানে আগত পর্যটকরা কোনো সমস্যায় না পড়ুক। নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া কেওক্রাডংকে ঘিরে থাকা হোটেল-রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তারা এখনো পর্যটকদের সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। আশা করছি দুর্গাপূজার পর কেওক্রাডং খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।”
এর আগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক অপসারণ’ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি বলেছিলেন, কেওক্রাডং ১ অক্টোবর থেকে উন্মুক্ত করা হবে। তবে সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় তা স্থগিত করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্বত্য এলাকায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর থেকে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে তিন উপজেলায় ভ্রমণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রোয়াংছড়ির দেবতাখুম পর্যটন স্পট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
কালের সমাজ // র.ন


আপনার মতামত লিখুন :