ফরিদপুরের আলোচিত কলেজ ছাত্র আসাদুজ্জামান নূর তুরাগ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. ফারুক ওরফে চেরয়া ফারুক (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন আলীপুর কবরস্থান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার গোবিন্দপুর এলাকায় মাদক ব্যবসার ভাগাভাগি ও কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত আসাদুজ্জামান নূর তুরাগ (২২) ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সেদিন বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর কানা তুষার গ্রুপের সদস্যরা কৌশলে তুরাগকে গোবিন্দপুরের একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার হত্যা করা হয় এবং হত্যার পর লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে কলার পাতার নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। ভয়াবহতা ছড়ায় আরও যখন জানা যায়, হত্যাকারীরা তুরাগের এক হাত কেটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩২, তারিখ-১৩/১০/২০২৩, ধারা-১৪৩/৩২৬/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০)।
পরে মামলার তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযানে নামে এবং অবশেষে এজাহারনামীয় আসামি চেরয়া ফারুককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার অম্বিকাপুর এলাকার মৃত করিম শেখের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, এ ঘটনায় অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কালের সমাজ/ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :