পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে চট্টগ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন চট্টগ্রামে বসবাস করে। ঈদের লম্বা ছুটি হওয়ায় পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতিমধ্যে শহর ছাড়তে শুরু করেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
নগরীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল উপরে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায় করতেছে। গার্মেন্টস শ্রমিক মোহাম্মদ হোসেন জানাই আমি চট্টগ্রাম থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত নিয়মিত ১০০০ টাকা দিয়ে যেতে পারি কিন্তু ঈদের সময় যাত্রী বেশি হওয়ার কারণে প্রায় সকল পরিবহনে ডাবল ভাড়া আদায় করে। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। মা বাবা ভাই-বোন ও স্ত্রী সন্তানদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিয়ে হলেও গ্রামের বাড়ি যেতে হয়।
এরকম হাজারো যাত্রীর অভিযোগ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কাজ করলেও সেগুলো তেমন নজরে আনছে না পরিবহন মালিকরা। বেসরকারি পরিবহন গুলো প্রতিবার ঈদের সময় দীগুনহারে যাত্রী সাধারনের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে। সরকারের ভোক্তা অধিদপ্তর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বাড়তি ভাড়া বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা বলেন ম্যাজিস্ট্রেট যতক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে কতক্ষণ তারা সঠিক ভাড়া আদায় করে। অভিযান পরবর্তী সময়ে আবার দিগুন হারে পাড়া আদায় করে।
তিল পরিমান ঠাই নেই চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস ট্রেন এবং লঞ্চগুলো। ঈদে আনন্দ উল্লাস করার জন্য গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে তাই যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যেতেই হবে। বাসে ট্রেনে সিট না পেয়ে অনেকেই ট্রাকে করে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
ঈদ যাত্রা সময় সাধারনত পরিবহনের টিকেট গুলা আগে থেকে কেটে নেওয়া হয়। অগ্রিম টিকিট কাটার সময় দিগুন ভাড়া দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। খরচের সাথে ইনকামের মিল হয় না এ ধরনের কথা বলে হতাশা ব্যক্ত করেন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস সহ যে টাকা পেয়েছি তার এক ভাগ চলে যাবে বাড়িতে আসা-যাওয়া করার সময়। যদি সঠিক ভাড়ায় আসা-যাওয়া করা যেত তাহলে কিছু টাকা ঈদের জন্য খরচ করা যেত। এখন সবার জন্য কাপড় চোপড় কেনা হয়নি তারপরেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য রাজশাহী গ্রামের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। এরকম হাজারো যাত্রী অভিযোগ করে যাচ্ছে সব সময়।
দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিবহন গুলো ঈদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করে। অনেক সময় যাত্রীরা প্রতিবাদ করে উঠলে পরিবহনের স্টাফদের সাথে বাক বিতণ্ডা হতে দেখা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন গুলোর কঠোর নজরদারি থাকলে কিছুটা ভালো ফলাফল আসতে পারে বলে যাত্রী সাধারন বলেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন আমরা প্রশাসনিকভাবে সবসময় বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। সঠিক অভিযোগ পাওয়া মাত্র প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জরিমানা সহ কারাদণ্ড দিয়ে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
কালের সমাজ//এ.জে

                                                
            
         
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
          
আপনার মতামত লিখুন :