ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বাগেরহাটে জলবায়ু ঝুঁকি নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার শুরু

কালের সমাজ | মাসুম বল্লিাহ ইমরান, খুলনা ব্যুরো মে ১৫, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম বাগেরহাটে জলবায়ু ঝুঁকি নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার শুরু

ঐতিহাসিক মসজিদ নগরী বাগেরহাটের জলবায়ু সংবেদনশীলতা ও সংরক্ষণে করণীয় নির্ধারণে খুলনায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালা।


বুধবার (১৫ মে) সকালে খুলনার একটি স্থানীয় হোটেলে “Preserving Legacies” প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী।


অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ড. ভিক্টোরিয়া হারম্যান।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. নূরুন্নবী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো আজ হুমকির মুখে। এই প্রেক্ষাপটে বাগেরহাটের মতো স্থাপনা সংরক্ষণে আন্তর্জাতিকভাবে এমন উদ্যোগ সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক পর্যটন ও গবেষণার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।”


বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পের বাগেরহাট সাইট টিমের মুখ্য সমন্বয়কারী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খন্দকার মাহফুজ উদ দারাইন। তিনি প্রকল্পের লক্ষ্য, কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।


অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রকল্পের সমন্বয়কারী লাভলী ইয়াসমীন।


সেমিনারে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, গবেষক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুরাকীর্তি সংরক্ষণবিদ, শিক্ষাবিদ ও দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।


তিন দিনের এই কর্মশালায় বাগেরহাটের জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন (Climate Risk Assessment – CRA) সম্পাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বিশ্লেষণ, বর্তমান অভিযোজন ব্যবস্থা এবং করণীয় নির্ধারণে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।


দ্বিতীয় দিন আলোচনা হবে ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিস্থিতি (SSP2-4.5 এবং SSP5-8.5) অনুযায়ী ২০৬০ ও ২১০০ সালের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে। তৃতীয় দিনে প্রণয়ন করা হবে সুপারিশমালা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে সহায়ক হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।


আগামী ১৭ মে (শনিবার) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে সুপারিশ উপস্থাপন এবং অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।


এই কর্মশালার মাধ্যমে Preserving Legacies প্রকল্প ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহে জলবায়ু অভিযোজনমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।


কালের সমাজ//এসং//র.ন

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর

Link copied!