ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

রূপগঞ্জে কলেজছাত্রী অপহরণ: অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার, পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি

কালের সমাজ | রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম রূপগঞ্জে কলেজছাত্রী অপহরণ: অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার, পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রথম বর্ষের এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই অপহরণকারীরা মেয়েটির পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে এবং হুমকি দেয়, টাকা না দিলে মেয়েকে ‘বড় ধরনের ক্ষতি’ করা হবে। বর্তমানে আহত ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষার জন্য বাসা থেকে কলেজে রওনা হন ওই ছাত্রী। কলেজে পৌঁছানোর কিছু আগেই পথে তাকে অপহরণ করে অটো রিক্সাযোগে নিয়ে যায় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ধারী ব্যক্তি। দুপুরের মধ্যে সে কলেজে না পৌঁছানোয় পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।


পরবর্তীতে একপর্যায়ে  ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং হুমকি দিয়ে বলা হয়— টাকা না দিলে মেয়ের বড় ধরনের ক্ষতি করা হবে। অপহরণকারীদের ফোন কল পেয়ে পরিবার আতঙ্কে পড়ে যায়। এবং রূপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে।


আজ বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের পেছনে ঝোপের পাশে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।  প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য  দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। 
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের পূর্বেই ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় "গণধর্ষণ" বা "ধর্ষণের শিকার" হয়েছে মর্মে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।


ভুক্তভোগীর মা নাসরিন রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে বলেন, "আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে, পরে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। এখন আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। আমরা তার জীবন নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ যেন দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।


এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,ঘটনার পরপরই আমরা অভিযান শুরু করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিংসহ প্রযুক্তিগত সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের বিষয়টি মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে।


কালের সমাজ//র.ন

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর

Link copied!