ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

কালের সমাজ | মোঃ একরামুল হক, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ রবিবার (২৭ জুলাই) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।

অনুষ্ঠানের সূচনায় ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, গীতা পাঠ করেন নবম শ্রেণির ঐশ্বর্য নাথ এবং বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক পাঠ করেন টিনা বড়ুয়া।

স্বাগত বক্তব্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব আক্কাস উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধু ভালো ফল নয়, বরং একজন ছাত্র-ছাত্রীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একত্রে কাজ করা প্রয়োজন।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য শেখ আহমদ বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনোজগত গঠনে বিনিয়োগ জরুরি।”

হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া বলেন, “একটি প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা সবাই যদি দায়িত্ববান হই, তাহলে শিক্ষার পরিবেশ আরও সমৃদ্ধ হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাসাস সভাপতি সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটনময় দে, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ একরামুল হক ও হেড মৌলানা নুরুল ইসলাম কুতুবী।

তারা সকলেই একমত পোষণ করেন যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আলোকিত ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষক-অভিভাবক-সমাজের সম্মিলিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তিনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান এবং এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান। বিভিন্ন শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা সনদ ও উপহার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ ও উৎসাহের ঝিলিক দেখা যায়।

অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মাঝে একদিকে যেমন অনুপ্রেরণা জোগায়, অন্যদিকে শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেন অনেক অভিভাবক।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর

Link copied!