জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় শ্যামনগর চৌরাস্তা মোড়ে শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মইনুদ্দিন মাহমুদ, সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, প্রভাষক আব্দুল হামিদ, মাওলানা আমিনুর রহমান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, “আসন পুনর্বিন্যাসের নামে শ্যামনগরবাসীর সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একত্র করে একটি আসনে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে। এই দুটি উপজেলা ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও দুর্যোগপ্রবণ—যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকে। তাই এই সিদ্ধান্ত জনবিরোধী ও অযৌক্তিক।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান, “শ্যামনগরকে পূর্বের মতো একটি একক আসন হিসেবে পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় শ্যামনগর ও কালিগঞ্জকে একত্র করে নতুন আসন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খসড়া গেজেট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগর। অথচ একে পূর্ণাঙ্গ সংসদীয় আসন না দিয়ে বিভক্ত করা হয়েছে, যা জনগণের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার শামিল। আমরা সরকারের এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।”
মানববন্ধনে শতাধিক নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। তারা খসড়া গেজেট বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
কার সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :