আজ সিরাজগঞ্জে ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’ উদযাপন করা হয়, যা প্রবাসীদের অবদানের সম্মানার্থে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের মান্যবর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের সম্মান জানানো হয়, যাদের শ্রম ও ত্যাগ বাংলাদেশ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, রেমিট্যান্স যোদ্ধা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, "প্রবাসী কর্মীরা আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের কারণে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।" তিনি আরো বলেন, "প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা নিরাপদ এবং সম্মানিত ভাবে কাজ করতে পারে।"অনুষ্ঠান শেষে প্রবাসী কর্মীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এই সম্মাননা তাদের দেশের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি জানান, "প্রবাসীদের জন্য আমাদের অঙ্গীকার হলো একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি প্রবাসী তাদের অধিকার এবং সম্মান পাবে।"বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
এটি গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। প্রবাসী কর্মীদের অধিকতর সুরক্ষা এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার নিয়মিতভাবে নীতি-নির্ধারণী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সমাজ-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রবাসী কর্মীদের অবদান শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং তারা দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সহায়ক।
ভবিষ্যতে, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের জীবনের মান উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রগতির জন্য অপরিহার্য।
কার সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :