মানিকগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক ৪টি সংসদীয় আসন পূর্ণবহালের দাবিতে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিএনপির মানিকগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান আতা।
নিজ বাসভবনে অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আসন কমানোর মাধ্যমে মানিকগঞ্জবাসীর ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
আতাউর রহমান আতা উল্লেখ করেন যে, ১৯৭২ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ৪টি সংসদীয় আসন ছিল, যা ২০০৮ সালে সেনা-সমর্থিত এটিএম শামসুল হুদা কমিশন ৩টিতে কমিয়ে আনে। এ সিদ্ধান্তকে তিনি আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেয়ার রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করেন ।
তিনি বিশেষভাবে হরিরামপুর উপজেলাকে সিংগাইরের সাথে যুক্ত করার সমালোচনা করে বলেন, এতে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী শক্তিশালী আসনগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে । তিনি দাবি করেন, আসন কমানোর ফলে হরিরামপুর, শিবালয়, দৌলতপুর ও সিংগাইর উপজেলার উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। পদ্মা-যমুনা নদীবেষ্টিত এসব অঞ্চলে প্রকল্প বন্ধ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন ।
আতা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার আবেদন করা কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালের সীমানা ফিরিয়ে আনলে মানিকগঞ্জবাসীর ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খান রিতার সমর্থনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বলেছিলেন,আসন কমানো ছিল আওয়ামী লীগের জন্য সুবিধা তৈরির ষড়যন্ত্র ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তারা জাতীয় পর্যায়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আতা শেষে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দাবি না মানা হয়, মানিকগঞ্জবাসী গণ-আন্দোলনের পথে নামবে, প্রয়োজন হলে আন্দোলন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে থামবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কার সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :