নওগাঁর মান্দা উপজেলায় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী নৌকা ভ্রমণ। গত শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মান্দার প্রসাদপুর বাজারসংলগ্ন বৈরাগীপাড়া ঘাট থেকে ৫টি বিশাল নৌকায় প্রায় ৪ শতাধিক ভ্রমণপিপাসু যাত্রা শুরু করেন। জনপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকা প্যাকেজে এই আনন্দঘন ভ্রমণের আয়োজন করা হয়।
ভ্রমণের প্রথম বিরতি ছিল কালিকাপুর ঘাটে। সেখানে সকালের নাস্তা শেষে কাফেলা রওনা দেয় পাঁঠাকাটা ও আয়াপুর ঘাট হয়ে বৈদ্যপুর ঘাটের উদ্দেশে। বৈদ্যপুরে বাঁশের একটি সাঁকোর কারণে সাময়িক বাধার সৃষ্টি হলেও সেটি অতিক্রম করে নৌকা বহর যাত্রা অব্যাহত রাখে। এ সময় ভ্রমণকারীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার একটি ফরম বিতরণ করা হয়।
পরবর্তী স্টপেজ ছিল বানডুবি, ভোলাবাজার ও শিবগঞ্জ ঘাট হয়ে মহাদেবপুর উপজেলার মহিশবাথান ঘাট। এরপর নজিপুর ব্রিজ অতিক্রম করে পার্ক এলাকায় দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। চলন্ত নৌকায় যাত্রীরা বুট, বাদাম, আলুর পাপড়, আইসক্রিম, প্রাণআপ, মিনারেল ওয়াটারসহ বিভিন্ন হালকা খাবার কিনে উপভোগ করেন।
বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে রাঙ্গামাটি, ধামইরহাট এবং আগ্রাদ্বিগুনের মাঝামাঝি অবস্থিত সিমুলতলী সীমান্ত ঘাটে যাত্রা বিরতি ঘোষণা করা হয়। যাত্রাপথে নদীর চড়ে একাধিকবার নৌকা আটকে যাওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হয়। সেখানে ভ্রমণকারীরা সিমুলতলী বিজিবি ক্যাম্প, ভারত সীমান্তের তারকাঁটা বেড়া এবং সীমানা পিলার ঘুরে দেখেন। স্থানীয় বাজারে চায়ের আড্ডা ও মাগরিবের নামাজ শেষে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে পুনরায় যাত্রা শুরু হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঝড় ও বৃষ্টি) উপেক্ষা করে নৌকা বহর শেষ পর্যন্ত রাত ১টা ৩০ মিনিটে মান্দার ফেরিঘাটে এসে পৌঁছায় এবং আনন্দঘন এ নৌকা ভ্রমণের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। তবে সময় বাঁচাতে অনেকে নিজ খরচে বিকল্পভাবে সড়কপথে আগেভাগেই নিজ এলাকায় ফিরে যান।
এই নৌকা ভ্রমণে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কিছু প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা থাকলেও অংশগ্রহণকারীদের জন্য এটি ছিল একটি আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :