ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

হাইকোর্টের নির্দেশে লামায় দুইটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলেন প্রশাসন

কালের সমাজ | মো. ইসমাইলুল করিম, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম হাইকোর্টের নির্দেশে লামায় দুইটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলেন প্রশাসন

হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়নে দুইটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করছেন প্রশাসন। বুধবার (১৩ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফাইতং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি’র নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, অভিযানে সহযোগিতা ছিলেন লামা ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রমূখ। হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় হাইকোর্টের নির্দেশে উপজেলার ৬টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ’র নির্দেশ দেন। নির্দেশনা মতে অভিযানের প্রথম দিনে গুড়িয়ে দেয়া হয় ইবি এম এলাহি ব্রিকস ও সেভেন ব্রিকস ম্যানু।

একই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় ইটভাটা গুলোর সব কার্যক্রম। এর আগে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০ ও ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রশাসন বরাবরে অনুরোধ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর।

অভিযান চালিয়ে দুই ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযানের প্রথম দিনে দুইটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বৃক্ষরোপণ করি।

পর্যায়ক্রমে অন্য চারটি অবৈধ ইটভাটাও গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করা হবে। যেসব ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এ‍‍`সব ভাটার মালিকরা যদি আবার ও অবৈধভাবে ভাটার কার্যক্রম শুরু করেন,তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযান শেষে ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফাইতং এলাকায় অবৈধ ইটভাটা ব্রিফফিল্ড নিয়ে বিরোধ চলছিল। অবশেষে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পরই উপজেলা প্রশাসন এই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আমরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি। সরকারি জমি ও জনস্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রম আগামীকালও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!