সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. সারোয়ার আলম। তিনি এর আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অভিযানে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি পান। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিন শতাধিক ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন তিনি। সর্বশেষ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সারোয়ার আলম।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীর স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি কার্যকর করা হয়।
সাম্প্রতিক সাদাপাথর লুটকাণ্ডে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন, সামাজিক কর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদের অপসারণের দাবিও ওঠে। এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযোগ করেছিলেন, সাদাপাথর ও জাফলংয়ের পাথর লুটে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ নিজেকে দায়মুক্ত করার বক্তব্য দিয়ে আরও সমালোচিত হন। একইভাবে ইউএনও আজিজুন্নাহারের বিরুদ্ধেও দায়িত্বহীনতা ও লুটে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :