সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর শায়খ ড. আব্দুস সামাদের শিক্ষাগত ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিশদ বিবরণ।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রফেসর শায়খ ড. মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বাবা মৃত খবীর উদ্দিন আকন্দের স্মৃতি বিজড়িত গ্রাম আমশড়া, ডাকঘর আমশড়া এবং থানা সলঙ্গার রায়গঞ্জ উপজেলায় তাঁর জন্ম।
প্রফেসর সামাদের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় হিদায়্যাহ জামা’য়াত, আমশড়া দারুল উলূম ইসলামিয়া কওমিয়্যাহ মাদরাসায়। এরপর সলঙ্গা ফাজিল মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষায় তিনি কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিনি কামিল (হাদিস) ও কামিল (তাফসির) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তাফসির বিষয়ে বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ইমাম মোহাম্মদ ইবন সৌদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ, সৌদি আরবে যান, যেখানে তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং আরবি ব্যাকরণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী পর্যায়ে, আরবি ব্যাকরণ ও শব্দ তত্ত্বে পিএইচডি (ডক্টরেট ডিগ্রি) অর্জন করেন।
১৯৭৭ সালে প্রফেসর সামাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদান করেন এবং সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তিনি ঢাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থানা জামায়াতের সভাপতি নিযুক্ত হন এবং টানা ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অন্যতম সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার কর্মপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রফেসর সামাদ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তা‘মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকায় মুহাদ্দিস হিসেবে খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাদশাহ ফয়সাল জামে মসজিদের খতিব এবং মসজিদ কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক ইসলামী কনফারেন্স ও সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য তিনি আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।
প্রফেসর সামাদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রায় ২০টি জার্নালে ১৫টির অধিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। বাংলা ও আরবি ভাষায় ১৫টির অধিক গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ইসলামী ও সামাজিক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি জনসাধারণের মধ্যে ইসলামের বাণী প্রচার করছেন।
প্রফেসর সামাদ সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মসজিদ ও অজুখানা নির্মাণ এবং গরিব ও অসহায় মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করেছেন। তার এই সকল কর্মযজ্ঞ সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এবং তিনি একটি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।তিনি আরো বলেন আল্লাহর আইন অসৎ লোকের শাসন এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কালের সমাজ/ জুআ/সাএ
আপনার মতামত লিখুন :