দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি সিরাজগঞ্জে ৫০০ অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেছে, যা তাদের কয়েক সপ্তাহের খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
মানবিক সেবা ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা প্রতিষ্ঠান দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রিভারভিউ আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ মাঠে শনিবার সকালে ৫০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে। এ সময় কলেজ মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য দেওয়া খাদ্য প্যাকেটে ছিল— ২৫ কেজি চাল, ৫ লিটার ভোজ্যতেল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, লবণ ও প্রয়োজনীয় মশলা। প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের এ প্যাকেট একটি পরিবারের কয়েক সপ্তাহের খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। দোস্ত এইডের প্রোজেক্ট ম্যানেজার আবুল কায়েসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল হাশেম খন্দকার, সৈয়দ আকবর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ, রিভারভিউ আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তানজিমা সুলতানা, সংগঠনের আইটি ম্যানেজার সম্রাট বাবর, মিডিয়া অফিসার সাজু আহমেদ, কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও আশরাফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
বক্তব্যে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমরা শুধু সাময়িক সহায়তা দিই না, বরং দরিদ্র মানুষের জীবনমানের স্থায়ী পরিবর্তনে কাজ করি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, টেকসই জীবিকা, বিশুদ্ধ পানি ও সামাজিক উন্নয়ন—সব ক্ষেত্রেই আমাদের কার্যক্রম চলমান।” তিনি আরও জানান, দোস্ত এইড ইতোমধ্যে টিউবওয়েল ও অযুখানা স্থাপন, কর্মসংস্থান তৈরি, রিকশা বিতরণ, শীতবস্ত্র ও কোরবানি মাংস বিতরণ, বন্যা ত্রাণ, হুইলচেয়ার প্রদান, চক্ষু শিবির, বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ও শিক্ষার্থীদের সাইকেল বিতরণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
খাদ্য সহায়তা পেয়ে সুবিধাভোগীরা বলেন, “এই সহায়তা আমাদের পরিবারকে বড় সংকট থেকে রক্ষা করেছে। আমরা দোস্ত এইডের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের আরও শক্তি দিন যেন সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। তাদের এই ধরনের কার্যক্রম সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি স্থায়ী উন্নয়নের পথ তৈরি করতে সহায়ক হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে এই ধরনের সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধু যে সাময়িক সংকট মোকাবিলা হচ্ছে তা নয়, বরং এটি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য একটি ভিত্তি স্থাপন করছে।
কালের সমাজ/ জ.র./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :