গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চলাচলের রাস্তায় জোর করে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন প্রতিপক্ষ আসাদ, সেলিম এবং কাজিম উদ্দিন। এতে ওই পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১০টি পরিবারের মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিবারগুলোর লোকজনকে। শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গিলাশহর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শ্রীপুর উপজেলার গিলাশহর গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা আক্তার প্রতিপক্ষ আসাদ, সেলিম এবং কাজিম উদ্দিনসহ তাদের ৫ সহযোগীদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মৃত কাদিরের ছেলে আসাদ (৩০), সেলিম (২৫) এবং মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে কাজিম উদ্দিন সহ (৪৫) তাদের সহযোগী অজ্ঞাত ৫জন।
আকলিমা আক্তার বলেন, প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে জমি নিয়ে শত্রুতা করে আসতেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯ টায় প্রতিপক্ষ আসাদ, সেলিম এবং কাজিম উদ্দিনসহ তাদের ৫জন অজ্ঞাত সহযোগী আমার বাড়ীর সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর এবং পড়নের কাপড় টেনে হিঁচড়ে শ্লীলতাহানী করে। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে বসতবাড়ীর গেইট ভাংচুর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার স্বামী আমাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
স্থানীয় মোহাম্মদ ফালু মিয়া (৪০) বলেন, জন্মের পর থেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। তার আতœীয় মনির হোসেনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসাদ, সেলিম এবং কাজিম উদ্দিন রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে জরুরি কাজে আমরা বের হতে পারছি না।
গৃহিনী ফাতেমা আক্তার বলেন, আসাদ ও মনির একে অপরের আতœীয়। তাদের ব্যাক্তিগত বিরোধের কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাদের কোনো কথাই তারা কেউই শুনছে না। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে ১০টি পরিবারের লোকজন। দ্রুত রাস্তা থেকে বাঁশের বেড়া খুলে দেওয়াসহ দুই পরিবারের সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত আসাদ ও সেলিম বলেন, মনির হোসেন রাস্তার জন্য তিন ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়েছিল। ওই জায়গা থেকে সে দেড় ফুটের মধ্যে ওয়ালের কানিছ করায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বসে আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে নেব।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের (৭ নং ওয়ার্ড) স্থানীয় মেম্বার হাদিউল ইসলাম বলেন, ২/৩ দিন আগে রাস্তায় বেড়া দেয়ার কথা শুনেছি। তারপর রাস্তার বেড়া খুলে নিতে বলেছি। তাদের মধ্যে মারথরের বিষয়টি আমি শুনিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন অফিসারকে (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকৃত বিষয়টি জানানোর নির্দেশ দিয়েছি।
কালের সমাজ/ কা.আ./ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :