ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

কামারখন্দে ১০০ কৃষককে মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কালের সমাজ ডেস্ক | আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম কামারখন্দে ১০০ কৃষককে মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কামারখন্দ উপজেলায় ১০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে মাসকলাই বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে খরিপ/২ ২০২৫ মৌসুমে মাসকলাইয়ের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে মাসকলাই বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। এতে প্রতিজন কৃষককে ১ বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য ৫ কেজি মাসকলাই বীজ, ৫ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‍‍`এই প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারবেন।‍‍` তিনি আরও জানান যে, সরকারের এই উদ্যোগ কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন কামারখন্দ উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রতনচন্দ্র বর্মন। তিনি বলেন, ‍‍`আমাদের লক্ষ্য কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। এই প্রণোদনা কর্মসূচি সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।‍‍`

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে ভদ্রঘাট, ঝাঐল, জামতৈল এবং রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ২৫ জন করে মোট ১০০ জন কৃষক এই প্রণোদনার সুবিধা পেয়েছেন।

এই ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি সাধারণত সরকারের কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়ে থাকে। সরকারের লক্ষ্য হলো কৃষকদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা এবং তাদেরকে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও উপকরণের সাথে পরিচিত করা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের উদ্যোগ দেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত হলে কৃষি ক্ষেত্রে আরও বৃহত্তর প্রভাব ফেলবে এবং দেশের অর্থনীতির ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে।

এই প্রণোদনা কর্মসূচি এ অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে একটি নতুন আশার সঞ্চার করেছে এবং তারা আশাবাদী যে তাদের উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে এবং তারা পরিবার ও সমাজের জন্য আরও ভালোভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
 

 

কালের সমাজ/জ.র./সাএ

 

Side banner

গ্রাম-গঞ্জ বিভাগের আরো খবর

Link copied!