কাঁক ডাকা ভোর থেকে,মধ্যরাত পর্যন্ত, গ্রামের মেঠোপথ থেকে শহরের পিচঢালা রাস্তায়—হাটে, মাঠে, ঘাটে, মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসা সর্বত্রই চলছে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর গণসংযোগ। টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের মানুষের কাছে তিনি আজ গণমানুষের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদর-৫ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রতিদিনই ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের ৩১ দফা কর্মসূচি।
টুকু বলেন, “টাঙ্গাইলকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত একটি শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনা ও বেকারত্বহীন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
তার বলিষ্ঠ বক্তব্য ও নিরলস গণসংযোগে ইতিমধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের গণমানুষের নেতা।
চরাঞ্চল থেকে শহর পর্যন্ত বহু ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—পূর্বের জনপ্রিয় এমপি ও মন্ত্রী মাহমুদুল হাসানের আমলে টাঙ্গাইলে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও গত দেড় যুগে উন্নয়ন থমকে গেছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের জায়গা দখল করেছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিরোধীদের ওপর মামলা-হামলা। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও হতাশ ছিলেন।
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পর সেই হতাশ জনগণের কাছে পৌঁছে যান সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি আশ্বস্ত করেন, “টাঙ্গাইলে আর কোনো সন্ত্রাস, গুম, হত্যা বা চাঁদাবাজি থাকবে না।”
স্থানীয়দের বিশ্বাস—যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং দল তাকে মনোনয়ন দেয়, তবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন টুকু। যুবসমাজের প্রতিও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।
সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। শহর ও গ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন, স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে যানজট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জানান, এবারের পূজা অতীতের তুলনায় শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন হয়েছে।
সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের সাধারণ মানুষ এক বুক আশা নিয়ে অপেক্ষায়—আসন্ন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিজয়ী হয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করবেন।
কালের সমাজ/ টা.প/ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :