ঢাকার বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। শীত এলেই দূষণের পরিমাণ বেড়ে ঢাকার নাম শীর্ষে উঠে আসে। এবারের শীতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকার নাম।
আজ (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার বায়ুমান স্কোর রেকর্ড হয়েছে ২২৩; অর্থাৎ শহরটির বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর।বায়ুদূষণের মাত্রায় আজ শীর্ষে অবস্থান করছে ভারতের কলকাতা। ওপার বাংলার প্রধান শহরটির বায়ুমান স্কোর আজ ২৪৭। এছাড়া, ১৯৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ, ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। আর বাতাসের স্কোর যদি হয় ১৫১ থেকে ২০০, তবে তাকে অস্বাস্থ্যকর বাতাস বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
গত রোববার সকালে রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৪৫২, পরে তা আরও বেড়েছিল। বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হলেই তাকে দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করা হয়। রোববার ঢাকার দূষিত ১০টি স্থানের প্রতিটির মানই ছিল দুর্যোগপূর্ণ। এর মধ্যে গুলশানের দুটি স্থানের স্কোর ছিল ৭০০-এর ওপর।
যদি কোনো অঞ্চলে পরপর ৩ দিন ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বায়ুমান ৩০০-এর বেশি থাকে বা দুর্যোগপূর্ণ থাকে, তবে সেই অঞ্চলে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
কালের সমাজ/এ.জে

                                                
            
         
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
                    
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
      
          
আপনার মতামত লিখুন :