ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২

ফিরছেন তারেক, উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:২৩ পিএম ফিরছেন তারেক, উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান তারেক রহমান। ওই সময় থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডনে থেকেই তিনি বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

গত নভেম্বরের শেষ দিকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি ও তার শারীরিক অবস্থার অবনতির পরও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি দ্রুতই দেশে ফিরছেন। এই প্রেক্ষাপটে লন্ডন থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ-স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।

এর আগে গত অক্টোবরের শেষে বিএনপি জানিয়েছিল, তারেক রহমান নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে তারা আশা করছে। কিন্তু নভেম্বরে তিনি ফেরেননি।

নভেম্বরে শেষ দিকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি ও তার শারীরিক অবস্থার অবনতির পরও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল।

ফেসবুকের সেই পোস্টে তারেক রহমান বলেছিলেন, মায়ের অসুস্থতার মধ্যেও তার দেশে ফেরার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’।

কেন তিনি দেশে ফিরতে পরছিলেন না সে বিষয়ে তার বা তার দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি।

যদিও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হলে ‘পরিস্থিতি যাই হোক’ তিনি দেশে ফিরবেন- এমন আভাস দিয়েছিলেন বিএনপির নেতারা।

তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর আগামী ২৫শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসছেন তারেক রহমান। তিনি নিজেই বললেন, ২৫ তারিখে দেশে যাচ্ছি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান এ কথা জানান।

তারেক রহমান বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে আজকে এই অনুষ্ঠানটি, প্রথমত দুটো বিষয়। এক. ১৬ ডিসেম্বর, আমাদের বিজয় দিবস। এবং একই সাথে আপনাদের সাথে বহুদিন ছিলাম। ১৭, প্রায় ১৮ বছর আপনাদের সাথে ছিলাম। বাট, আগামী ২৫ তারিখে ইনশা আল্লাহ আমি দেশে চলে যাচ্ছি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মিলনায়তনে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হর্ষধ্বনি দেন। এ সময় তারেক রহমান যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তার বিদায়ের দিন যেন কেউ বিমানবন্দরে উপস্থিত না হন। নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে ভিড় করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, দলীয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখানে তার মা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

বিএনপি চেয়ার পারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পুনরুত্থানের নতুন অধ্যায় শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং ভবিষ্যতে জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির চতুর্থ প্রজন্ম দেশের সামনে এগিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। ‘সবকিছু ঠিক থাকলে’ ২৫শে ডিসেম্বর তিনি ফিরবেন বলে জানান তিনি।

উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মী স্বাগত জানাতে প্রস্তুত
দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রিয় নেতাকে বরণ করতে ২৫ ডিসেম্বর ইতিহাস সৃষ্টি করতে উদ্যোগ নিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। তাদের প্রত্যাশা, ওই দিন ঢাকার বিমানবন্দরে জনতার ঢল নামবে। নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগণ তাঁকে স্বাগত জানাতে আসবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, তারেক রহমান এখন আর শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি সর্বজনীন নেতা, জনমানুষের নেতা। তাঁর ফেরার দিন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। নেতাকর্মীদের এদিন ঘরে রাখা যাবে না। এটা আবেগের জায়গা। সবাই এদিন বিমানবন্দরে ছুটবেন তাদের প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য।  

অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির কমিটি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে, সদস্যসচিব করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এই বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন।

এর আগে গত সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গুলশানের বাসায় উঠবেন তারেক রহমান, প্রস্তুত আলাদা অফিসও
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তাঁর জন্য বাসভবন ও দলীয় অফিস প্রস্তুত করেছে বিএনপি। গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই বাসার পাশেই ভাড়া করা বাসা ফিরোজায় থাকেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের জন্য আলাদা চেম্বার তৈরি করা হয়েছে।

এ ছাড়া গুলশানে আরেকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে জাতীয় রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন। ওই সংবাদ সম্মেলনেই এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি। গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের ১০/সি নম্বর নতুন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

টানা ১৮ বছর লন্ডনে নির্বাসিত থাকার পর ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছেন তারেক রহমান। তাঁর আগমন উপলক্ষে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ২৫ তারিখ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপি সূত্র বলছে, তারেক রহমানের জন্য গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর যে বাসাটি ঠিক করা হয়েছে, ওই বাসাটি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেন। কয়েক মাস আগে এই বাড়ির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। সেই বাড়িতেই উঠছেন তারেক রহমান। বাসাটির সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
 

গুলশানে নতুন অফিস

গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের ১০/সি বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে বিএনপির অফিস হিসেবে। চারতলা এই ভবনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। এখানে দোতলায় রয়েছে ব্রিফিং রুম। অন্যান্য তলায় বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে গবেষণা সেল।

নতুন অফিস খোলার পর বিকেলে এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মাহাদী আমিন বলেন, এটি বিএনপির একটি কার্যালয়। এখান থেকে নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মাহাদী আমিন বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই অবগত যে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরবেন ইনশা আল্লাহ। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে গণমানুষের মাঝে রয়েছে তীব্র আবেগ, আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা বিশ্বাস করেন, আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনীতি এবং আদর্শের ঊর্ধ্বে গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য আমাদের এ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য। ইতিমধ্যে বিএনপি প্রণীত দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে ঢাকায় এক সপ্তাহব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, তারেক রহমান ১৯৮৮ সালে ২২ বছর বয়সে বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তাঁর মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমান দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। এই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম সারিতে তাঁর সক্রিয় আগমন ঘটে। ২০০২ সালে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এর পরই দেশব্যাপী দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর এই সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিরোধী পক্ষ অপপ্রচার শুরু করে, যা ভিত্তিহীন ছিল।

২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় তারেক রহমানকে কারাগারে যেতে হয়, র্নিযাতনের শিকার হতে হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ২০০৮ সালে লন্ডনেও যেতে হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তিনি দল পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে থাকেন। সারাদেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। তাদের সব সমস্যায়, মামলা-হামলা-নির্যাতনে পাশে দাঁড়ানোর মূল ভূমিকা পালন করতে থাকেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন উচ্চ আদালতের এক আদেশে তাঁর বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারেক রহমান। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাজ্যে থেকেই  দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর পর বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল এবং কোনো কোনো মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পান। এর পর থেকে তাঁর দেশে ফেরার আলোচনা শুরু হয়।

কালের সমাজ/এসআর

Side banner
Link copied!