ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

ঝিনাইদহে গরমে কষ্টে শিক্ষার্থীরা, মর্নিং শিফটের দাবি

কালের সমাজ | মোঃ হামিদ পারভেজ, ঝিনাইদহ প্রতিবেদক মে ১৯, ২০২৫, ১১:৫০ এএম ঝিনাইদহে গরমে কষ্টে শিক্ষার্থীরা, মর্নিং শিফটের দাবি

প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের জনজীবন। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের অভাব, বাতাস চলাচলের অপ্রতুল ব্যবস্থা এবং ডে-শিফটে তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠদান কার্যক্রম রীতিমতো কষ্টকর হয়ে উঠেছে।


জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কক্ষেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্যান নেই। কোথাও একটি ফ্যান থাকলেও তা নষ্ট হয়ে আছে, আবার কোথাও ফ্যান চললেও খুব দুর্বলভাবে ঘোরে। এতে শ্রেণিকক্ষে বসে থেকেই ঘামঝরা পরিস্থিতিতে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশুরা। অনেকেই মাঝপথেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ক্রমেই কমে যাচ্ছে।


সদর উপজেলার মুরারীদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে যেখানে অন্তত চারটি ফ্যান প্রয়োজন, সেখানে রয়েছে মাত্র তিনটি। তার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ অচল, আরেকটি মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় দীর্ঘ সময় শ্রেণিকক্ষে অবস্থান যেন শিক্ষার্থীদের জন্য একরকম শাস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।


শহরের খান-এ-খোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও একই রকম। শ্রেণিকক্ষ ছোট, বাতাস প্রবাহের তেমন ব্যবস্থা নেই, আর সচল ফ্যান সেখানে বিলাসবহুল একটি উপাদান মাত্র। চরম গরমে শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়ছে, তাদের মনোযোগে প্রভাব পড়ছে ক্লাসে।


নাজমুল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, “ডে-শিফটে ক্লাস পরিচালনা করায় দুপুরের দিকে তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। ক্লাস শেষে রোদে পুড়ে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসহ হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত ফ্যান সরবরাহ এবং ডে-শিফটের পরিবর্তে মর্নিং শিফট চালু করা হোক।”


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, “শিক্ষকদের বক্তব্য বাস্তব সম্মত। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।”


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯০৭টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১,৬৭,৪০১ জন।


এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ যাতে সহনীয় হয়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক ও অভিভাবক মহল।


কালের সমাজ/এসং//র.ন

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর

Link copied!