গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার অজুহাতে কুমিল্লার চান্দিনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্বাভাবিকভাবে চড়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ মানুষ। সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস এমনকি মুদি পণ্যের দামও কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে চান্দিনা বাজার ঘুরে দেখা যায়, যে শসা গত পরশুও ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ তা ৭০-৮০ টাকায় উঠেছে। বেগুন ও পটল ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামেও লেগেছে আগুন, যা ১০০-১২০ টাকা ছিল, তা এখন ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও একই চিত্র। রুই, কাতলা, পাঙ্গাসসহ সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে অন্তত ৫০-১০০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা বৃষ্টির অজুহাতকে পুঁজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এবং ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন। চান্দিনা বাজারের একজন নিয়মিত ক্রেতা, স্কুল শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, "বৃষ্টি হয়েছে এটা ঠিক, কিন্তু তাই বলে সব জিনিসের দাম রাতারাতি এত বেড়ে যাবে এটা মানা যায় না। বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের এখন বাজার করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।"
তবে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে এবং এতে খরচ বেড়েছে। একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, "বৃষ্টির জন্য মোকামে মাল কম আসছে, আর যা আসছে তার দামও বেশি। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।"
চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন অবশ্য বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং বাড়ানোর কথা বলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সাধারণ মানুষ দ্রুত বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
কারের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :