২০০৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নানা স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মরণ এবং বিগত ১৬ বছরের নিপীড়নের ইতিহাস জনসমক্ষে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এই জাদুঘরের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। এজন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাদুঘরের কাজ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে— সিভিল (ভবন নির্মাণ) ও ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল (ই/এম)। ই/এম-এর আওতায় থাকবে ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল কাজ, যেমন- বিদ্যুৎ লাইন, সুইচ ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। সিভিল অংশের মধ্যে থাকবে অবকাঠামো নির্মাণের বাকি কাজ।
সভা সূত্রে জানা গেছে, গণভবনকে জাদুঘর রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছিল। ৫ আগস্ট এটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সময় স্বল্পতায় টেন্ডার পদ্ধতিতে কাজ করা সম্ভব নয় বলে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ই/এম অংশের নির্মাণ/সংস্কারের দায়িত্ব পাচ্ছে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্স। এ অংশের বরাদ্দ নির্ধারিত হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
সিভিল অংশের কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। তাদের জন্য বরাদ্দ ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদন দেওয়া হয়।
কারের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :