ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এবং ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নামে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি নতুন ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া দুইটি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. মুজিবর রহমান, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাতেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণসহ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বায়োটেকনোলজি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ দুটি পূর্বে কৃষি অনুষদের অধীনেই ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই বিভাগগুলোকে স্বতন্ত্র ইনস্টিটিউট হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়ে আসছিল। সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় প্রশাসনের অনুমোদনের মাধ্যমে সে দাবির বাস্তবায়ন ঘটে এবং আজকের উদ্বোধনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউট হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান দুই ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, `২০ বছরের বেশি সময় ধরে এই দুটি ইনস্টিটিউট অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। তবে আমরা আশাবাদী ছিলাম এবং এই বিষয়টি নিয়ে বরাবরই সক্রিয় ছিলাম। আজ যাত্রা শুরুর এই মুহূর্তে যাঁরা এই অর্জনের পেছনে কাজ করেছেন, আমি তাঁদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। আশা করি, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ইনস্টিটিউট দুটি গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রাখবে।`
বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, `আমরা শুরুতেই ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবো। বায়োটেকনোলজি বর্তমানে কৃষি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়নে এটির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণায় সমন্বয়ের জন্য যোগাযোগ করেছি এবং দ্রুত একটি যুগোপযোগী কারিকুলাম চূড়ান্ত করবো।`
অন্যদিকে ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাতেন জানান, `আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ চার বছর মেয়াদি কোর্স কারিকুলাম তৈরি করছি, যেখানে পরিবেশ ছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো যুক্ত থাকবে। এজন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কারিকুলাম কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের মডেল বিশ্লেষণ করছেন। চূড়ান্ত করবো একটি সেমিনারের মাধ্যমে, যেখানে অন্য শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা হবে।`
কারের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :