জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার ও দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চলমান নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন" এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের হলেও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ একদিকে রাষ্ট্র পরিচালনার নামে গণতন্ত্র হরণ করেছে, অন্যদিকে বিরোধী মত দমন করতে চরম সহিংসতা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।”
সমাবেশে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। ছাত্ররা "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার", "গোপালগঞ্জে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব দাও", "আওয়ামী লীগের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও", "আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই"—এই সব প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সদস্য সচিব সোহাইল মাহদিনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন: জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, জুলাই যোদ্ধা ও শিবিরনেতা আনিসুর রহমান, ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম, আল ইমরান নাঈম বাবু, রাহাত রাজা, আলিফ, মাহফুজ, নুহ আনসার আলী, আব্দুল আজিজ, আবু হাসান প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, “গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। ১৫ বছর ধরে তারা যে দমন-পীড়ন, হত্যা ও গুম চালিয়েছে তার বিচার একদিন হবেই। প্রয়োজনে গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করতে হবে।”
তারা অবিলম্বে গোপালগঞ্জে হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগপন্থী ‘ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের’ গ্রেফতার ও বিচারের দাবিও জানান।
বিক্ষোভে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন এবং সংবিধান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :