কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের খালিসা রেল ব্রিজ সংলগ্ন উত্তর পাশে রেললাইনে সীমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সীমা আক্তার ছয়সূতী ইউনিয়নের উত্তর কান্দি গ্রামের মো. শানু খাঁ-এর মেয়ে। তার স্বামীর নাম শাহীন। স্বামীর বাড়িও একই ইউনিয়নের খালিসা রেল ব্রিজ সংলগ্ন রেললাইনের পাশেই সালমান কান্দি গ্রামে।
জানা যায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রেললাইনে একটি দ্বিখণ্ডিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
পরে খবর পেয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ও ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সীমা ও তার স্বামীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। গতকালই তিনি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। এর ঠিক পরদিনই তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের বড় বোন রিমা আক্তার বলেন, “আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে।”
নিহতের বাবা মো. শানু খাঁ ও মামা মো. মাসুম মিয়া একই অভিযোগ করে বলেন, “সীমার সংসার জীবন সুখের ছিল না। জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আমরা আগে থেকেই অভিযোগ করছিলাম। আমাদের বিশ্বাস, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হেলাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। এটি আত্মহত্যা না হত্যা—তা ময়নাতদন্ত ও তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে। পরিবার যদি অভিযোগ দেয়, তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে।”
অন্যদিকে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :