খুলনা জেলার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা এবং নিরাপদ পানির সংকট বহুদিন ধরেই জনজীবনে নানামুখী দুর্ভোগ তৈরি করে আসছে। এ পরিস্থিতির প্রতিবাদে ও সমাধানের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১ টায় উপজেলা মা সংসদ, ওয়াশ বাজেট মনিটরিং ক্লাব, ও স্বাস্থ্য গ্রাম দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে সহযোগিতা করেন অ্যাকশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ এনসিউরিং সাসটেইনেবল সলিউশন (অ্যাকসেস) প্রকল্প, উন্নয়ন সংস্থা ডর্প এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা হেলভেটাস বাংলাদেশ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়রা একটি নদী ও উপকূলঘেরা এলাকা, যেখানে অতিবৃষ্টি, নদীভাঙন এবং জোয়ারভাটার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এখানে টিউবওয়েল ও একাধিক পানির উৎস বিদ্যমান, তবে জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততার কারণে অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়ছে অথবা নিরাপদ পানির মান বজায় রাখতে পারছে না।
পাশাপাশি, সরকারি খাস পুকুর ও পিএসএফগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পানির সংকট আরও তীব্রতর হচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং নারী, শিশু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। বক্তারা আরও বলেন, “টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ছাড়া কয়রার জলাবদ্ধতা কোনোভাবেই নিরসন সম্ভব নয়।
জলাবদ্ধতা থেকে সৃষ্ট স্থায়ী জলাবসান মাটির উর্বরতা ধ্বংস করছে এবং একে ঘিরেই ধ্বংস হচ্ছে আমাদের পানির উৎসগুলো। আজ যদি এই সংকট সমাধানে কার্যকর বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এ জনপদ নিরাপদ পানির অভাবে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। তাই এখনই সময় বাজেট বৃদ্ধি এবং তার সঠিক ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডরাপের উপজেলা কো-অডিনের্টর পিন্টু দাস, সিডিও মোঃ মশিউর রহমান, রিজিয়া খাতুন, সুফিয়া, সুমাইয়া, বাজেট মনিটরিং কমিটির সভাপতি মোল্যা মনিরুজ্জামান মনি, ডেপুটি স্পীকার স্বপা মন্ডল, স্বাস্থ্য গ্রাম্যদলের ফাল্গুনী রানী প্রমুখ।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :