রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম মহাপ্রয়াণ দিবস পালন উপলক্ষে গত (৬ আগস্ট) শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে ছিল সুনসান নীরবতা। সরকারি উদ্যোগে কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে দিবসটি পালন করেছে।
এ বিষয়ে রবীন্দ্র কাচারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান শাওলী তালুকদার জানান, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় বা প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের কোনো নির্দেশনা না থাকায় সরকারি কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। তবে, ব্যক্তিগত ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিজেদের উদ্যোগে অনুষ্ঠান পালন করেছে।
শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এদিন বিশ্বকবির স্মরণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপাচার্য ড. হাসান তালুকদার বলেন, `রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল বাংলাদেশ বা ভারতের নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্য পূজনীয় ব্যক্তিত্ব। তার সৃষ্টিকর্ম, চিন্তা ও দর্শনের আলোকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কবির প্রয়াণ দিবসে আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।`
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বকবির সৃষ্টিকর্ম ও দর্শনকে তুলে ধরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়াও স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বকবির স্মরণে দিবসটি পালন করে।
বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ দিবসে সরকারি উদ্যোগের অভাব থাকলেও ব্যক্তিগত ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় তাকে স্মরণ করে। এই ধরনের উদ্যোগগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা ও দর্শনকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ভবিষ্যতে সরকারি উদ্যোগে এই ধরনের দিবসগুলো পালনের গুরুত্ব অপরিসীম।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :