গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ‘আওয়ামী সরকার পতন’ ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এসময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিয়ারচরের রাজপথ ।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের নেতৃত্বে কুলিয়ারচর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কুলিয়ারচর বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাজারস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শরীফুল আলম বলেন,“গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ একচেটিয়াভাবে ক্ষমতা দখলে রেখে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা পুলিশি হয়রানি, জেল-জুলুম, গুম-খুনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারপরও আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াইনি। বরং ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ফলেই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পতিত হয়েছে।”তিনি আরও বলেন,
“এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুসের প্রতি আমাদের আহ্বান—নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশের প্রতি এবং নিজের সম্মানের প্রতি দায়িত্ব পালন করুন।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,“খুব শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখনই যার যার এলাকায় ফিরে যান, প্রস্তুতি নিন। মানুষের পাশে যান, জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। নির্বাচনে জয়ী হতে যা যা করা দরকার, সেই প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করুন।”
আলোচনা সভায় কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল মিল্লাত এর সভাপতিত্ব আরও উপস্থিত ছিলেন—কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হান্নান,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো.শাহাদাত হোসেন শাহ আলম,প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কুলিয়ারচর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। বিজয় মিছিল ও সভা ঘিরে কুলিয়ারচর শহরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। স্লোগান স্লোগানে মুখরিত ছিলো কুলিয়ারচর বাজার।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :