গাজীপুরে ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় সেখানে একটি নতুন সংসদীয় আসন যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি। অন্যদিকে, বাগেরহাটে ভোটার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সেখান থেকে একটি আসন বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, "যে আসনে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে সেখানে একটি আসন বাড়ানোর এবং যেখানে সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে সেখান থেকে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে কারিগরি কমিটি।"
কমিশনার আরও জানান, দেশের মোট ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাব নিয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত দাবি-আপত্তি গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “সংবিধানের ১১৯ থেকে ১২৪ ধারা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ও ২০২২ সালের জনশুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
তিনি জানান, আগামীকাল সীমানা পুনঃনির্ধারণের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে কমিশন এ গেজেট প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে।
এই প্রক্রিয়ায় ৯ সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি ১৬ জুলাই গঠন করা হয়। তারা ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী জেলার আসনভিত্তিক গ্রেডিং করেছে। কমিশনার জানান, যেসব জেলা ১, ২ বা ৩টি আসনবিশিষ্ট, সেগুলোর সীমানা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় সেগুলো বিবেচনায় আনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, “২৫০-এর কাছাকাছি আসনের ক্ষেত্রে সীমানা পুনঃনির্ধারণের কোনো আবেদন জমা পড়েনি, তাই এসব আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, নতুন সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আরও গ্রহণযোগ্য ও সুশৃঙ্খল নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :