জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বহিষ্কৃত ১১ সিনিয়র নেতাকে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আদালত সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্য প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অবৈধ। ফলে তারা আগের পদে বহাল থাকবেন।
স্বপদে ফিরে আসা অন্যান্য নেতারা হলেন: প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, আরিফুল রহমান, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, জসিম উদ্দীন জসিম এবং দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক খান।
আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। আইন ও ন্যায়বিচার যে এখনও জীবিত, এই রায় তার প্রমাণ। স্বৈরতন্ত্র, দলীয় কর্তৃত্ববাদ এবং অবৈধ ক্ষমতা দখলের রাজনীতির বিরুদ্ধে এ রায় একটি কঠোর বার্তা।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি কোনো একক ব্যক্তির মালিকানাধীন সংগঠন নয়। এটি দেশের লাখো মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। আদালতের এই রায়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে এসেছে জাতীয় পার্টি।”
সবশেষে তিনি বলেন, “এখন আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াত এরশাদের স্বপ্নের জাতীয় পার্টি পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য—একটি সাম্য, প্রগতিশীল ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।”
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :