বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এনজিওগ্রামে তার হার্টের তিনটি প্রধান ধমনীতে গুরুতর ব্লকেজ ধরা পড়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে এনজিওগ্রাম করা হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক পরামর্শ অনুযায়ী, তার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় ওপেন হার্ট সার্জারির (বাইপাস) দিকেই ঝুঁকছেন তারা। তবে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ‘রিং পরানো’ (স্টেন্টিং) নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।
তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি—বাইপাস সার্জারি হবে, নাকি স্টেন্ট পরানো হবে; কিংবা তিনি দেশে চিকিৎসা নেবেন, না বিদেশে যাবেন—তা এখনও অনির্ধারিত। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে শিগগির বিস্তারিত জানানো হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত আমির এখনো দেশে থেকেই চিকিৎসা নেওয়ার পক্ষে অবস্থান করছেন। অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি মনোবল ধরে রেখেছেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। মঙ্গলবার তিনি জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠকেও যোগ দেন এবং বক্তব্য দেন।
এর আগে, ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
তবে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন এবং নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের সিজিএম জাহিদুর রহমান বলেন, “আমার জানা মতে, বাইপাস সার্জারির কোনো আনুষ্ঠানিক পরামর্শ এখনও দেওয়া হয়নি। বরং গতকালও তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশ নিয়েছেন ও বক্তব্য দিয়েছেন।”
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :