ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

তারেক-বাবরসহ আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে টানা শুনানি চলছে

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩১, ২০২৫, ১১:১২ এএম তারেক-বাবরসহ আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে টানা শুনানি চলছে

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ আপিল করে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন শেখ হাসিনা সহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।
ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সিআইডি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অধিকতর তদন্তে বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও অভিযুক্ত করা হয়।

দীর্ঘ বিচার শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে আসে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর। এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শুরু হয়।

তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হলে, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত নতুন বেঞ্চ শুনানি শেষে ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালাস দেন।

এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে) আবেদন করে, যার শুনানি এখন চলছে।

আইনি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলার রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!