শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল-তাতীহাটী এলাকার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইবনে জায়েদ’র বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত তদন্তে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশে পরিচালিত তদন্তে প্রকৃত মালিককে ‘অবৈধ দখলদার’ হিসেবে দেখিয়ে পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট প্রদান করেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানীশিমুল ইউনিয়নের মৃত নুরল হকের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল। মৃত্যুর পর সমানভাবে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি করে তারা চাষাবাদ ও দখল করছিলেন। ছয় বছর আগে নুরল হকের ছোট ছেলে দেলোয়ার হোসেন নিজের ভিটা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। তাঁর কিছু জমি স্থানীয় রাজু মিয়ার কাছে ইজারা দেওয়া রয়েছে। অন্যদিকে, নুরল হকের দুই মেয়ে মেহেরুন্নেসা ও শিরিনা বেগম নিজেদের জমি অন্য ব্যক্তির কাছে ইজারা দিয়েছেন।
নুরল হকের বড় ছেলে জুহুরুল হক তার ছেলে মোশারফ হোসেন ফটিককে বাদী করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। সেখানে তিনি অন্যদের ‘অবৈধ দখলদার’ দাবি করেন। আদালতের নির্দেশে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইবনে জায়েদ তদন্ত করেন, কিন্তু প্রতিবেদন নামমাত্র ও পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের নামে বৈধ ডিজিটাল খতিয়ান এবং নিয়মিত খাজনা প্রদান রয়েছে। বড় ভাইয়ের একপক্ষীয় অভিযোগ ও তদন্ত তাদেরকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করেছে যা আইনগতভাবে সঠিক নয়। তারা দ্রুত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আশিক বলেন, “আমাদের নামে সব কাগজপত্র বৈধ, কিভাবে আমরা অবৈধ দখলদার হলাম বুঝতে পারছি না। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”
নুরল হকের বড় মেয়ে মেহেরুন্নেসা বলেন, “আমরা জন্ম থেকেই এই জমিতে আছি। দীর্ঘ ১২ বছর চাষ করছি। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আমাকে অবৈধ দখলদার বানানো হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
ছোট মেয়ে শিরিনা বেগম অভিযোগ করেন, “এই পক্ষপাতদুষ্ট তদন্তের কারণে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে।”
অভিযোগের জবাবে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইবনে জায়েদ জানান, তিনি যথাসাধ্য সঠিক তদন্ত করেছেন এবং কোনো পক্ষপাত করেননি। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কেউ নারাজি জানাতে পারে, তবে মামলার বিবাদীরা নারাজি দিতে পারবেন না।
স্থানীয়রা দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :