মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গাজায় খাদ্যসংকটের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। জাতিসংঘ বলছে, এখনো পরিস্থিতি রয়ে গেছে মারাত্মক ‘বিপর্যয়কর’।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ অনাহারে ভুগছে। এর মধ্যে ১১ হাজারেরও বেশি গর্ভবতী নারী রয়েছেন। নবজাতকদের ৭০ শতাংশই অপুষ্টিতে আক্রান্ত এবং অনেক শিশুই অপরিণত অবস্থায় জন্ম নিচ্ছে। ইউএনএফপিএ সতর্ক করেছে, এই অপুষ্টির প্রভাব বহু প্রজন্ম ধরে বহন করতে হবে গাজার জনগণকে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে, তা মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর পক্ষে একেবারেই অপর্যাপ্ত।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার টন খাদ্য পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও বর্তমানে পৌঁছাচ্ছে মাত্র ৭৫০ টন। সীমিত দুটি ক্রসিং খোলা থাকায় ত্রাণ প্রবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে অক্সফাম, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলসহ ৪১টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল মানবিক সাহায্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে। এসব সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর ৯৯টি এবং জাতিসংঘ সংস্থার ছয়টি ত্রাণ অনুরোধ বাতিল করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :