ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

বাংলাদেশে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক আইনি কাঠামোতে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হয়েছে। আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এই অধ্যাদেশে গুমকে একটি চলমান অপরাধ (continuing offence) হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

প্রেস সচিব আরও জানান, অনুমোদিত অধ্যাদেশে গোপন আটক কেন্দ্র বা তথাকথিত ‘আয়নাঘর’ পরিচালনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং গুম তদন্ত কমিশনকে গুমসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গুমের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে গঠনের পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তা সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গুম প্রতিরোধ ও সুরক্ষায় বিশেষ তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, অধ্যাদেশটি জাতিসংঘের “ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো সরকারই গুমের রাজনীতি বা গোপন আটক কেন্দ্র পরিচালনার সুযোগ পাবে না। এটি বাংলাদেশের মানবাধিকার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

 

কালের সমাজ/ সাএ

Side banner

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!