বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উত্তরার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন সংগঠনের অভিজ্ঞ নেতা মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন। সাংগঠনিক দক্ষতায় সুপরিচিত এ নেতা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল থেকে কর্মী গড়ে তোলার কাজ করে আসছেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে বৃহত্তর উত্তরা বিএনপির বিভিন্ন পদে থেকে সফল নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে কর্মী তৈরির কারিগর হিসেবেও নতুন করে পরিচিতি পেয়েছেন আফাজ উদ্দিন। স্থানীয়রা তাকে আদর্শ সাংগঠনিক রূপকার হিসেবে রোল মডেল মনে করেন।
গত আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি উত্তরায় নিজস্ব একটি শক্তিশালী বলয় তৈরি করতে সক্ষম হন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও কিছুটা বাড়তি সুবিধা পান তিনি। সম্প্রতি উত্তরার এক জনসভায় মির্জা ফখরুল তাকে নিজের ছাত্র বলে পরিচয় দেওয়ায় দলে তার গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়েছে।
নিজস্ব কর্মীবল, সৎ রাজনৈতিক জীবন এবং স্থানীয় সমর্থনের ওপর ভর করে এবার ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। ইতোমধ্যে কয়েকটি বড় শোডাউনের মাধ্যমে নিজের শক্তি প্রদর্শন করেছেন। পাশাপাশি মুহাম্মদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুঃস্থদের খাদ্য, চিকিৎসা ও বস্ত্র সহায়তা দিচ্ছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছেন।
আফাজ উদ্দিন বলেন, “আন্দোলন-সংগ্রাম ও সামাজিক কার্যক্রমে আমার অবদান দল অবশ্যই মূল্যায়ন করবে বলে আশা রাখি। তবে এমপি নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। জনগণ যাকে চাইবে, তারাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।”
অন্যদিকে আসন পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঢাকা-১৮ আসনের তুরাগ থানাকে ঢাকা-১৬ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ নিয়ে উত্তরা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজনের পেছনে আফাজ উদ্দিনের সক্রিয় ভূমিকার কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তুরাগের ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড শেষ পর্যন্ত ঢাকা-১৬ আসনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :