রাজশাহী নগরীতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত প্রতারক ডেভেলপারের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, রাজশাহী মহানগর-এর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও প্রতারকদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এখনও তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা নিচ্ছে। যারা এর সাথে সম্পৃক্ত বা জড়িত থাকবে তাদের বিচার করা হবে।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, প্রতারক ডেভেলপার মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান একজন প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের হোতা। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে গ্রাহকের অর্থ নিয়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি। আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানেও প্রতারণামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি, বোয়ালিায়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল হোসেন মিলু, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সৈকত পারভেজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ডেভেলপার মোস্তাফিজুর রহমান ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানি সুমন, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম মিলু ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব এমদাদুল হক লিমনসহ ৩৬ জনের নামে মামলা করে। এছাড়াও আরো ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়ে মামলায়।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :