ঢাকা শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উত্তেজনা বৃদ্ধি

কালের সমাজ | জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উত্তেজনা বৃদ্ধি

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-২ আসন, যা জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আসন হিসেবে পরিচিত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে বিএনপি এখানে শক্তিশালী হলেও জামায়াতে ইসলামী এবার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যিনি অতীতে দুইবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, এবারও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জামায়াতের প্রার্থী মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ১৯৮৬ ও ২০০১ সালে এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আইনি জটিলতায় অংশ নিতে না পারলেও তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদ সেই আসনে বিজয়ী হন। তারপরে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

জামায়াতের প্রার্থী মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, যিনি জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এবং পূর্বে পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ও জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়। তিনি তার দলের সমর্থনে বিপুল সংখ্যক ফেস্টুন, ব্যানার ও সমাবেশের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, "আমাদের সাংগঠনিক অবস্থা এখন অত্যন্ত দৃঢ়। আমরা প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মহিলা কর্মীসহ দলের কর্মীদের মাধ্যমে জনগণের কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।"

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোটের মাঠের সমীকরণে বড় পরিবর্তন এসেছে। বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই তাদের ঐতিহ্যগত ভোটব্যাংক ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। দলের পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজও ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিএনপিতে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা চলছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছাড়াও হুমায়ুন ইসলাম খান, নাজমুল হাসান এবং মোকাদ্দেস আলীর মতো প্রার্থীরাও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছেন। তবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলের অঘোষিত একক প্রার্থী হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন।

জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, "তারেক রহমানের ৩১ দফা ঘোষণা অনুযায়ী আমরা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে কাজ করছি। তারেক রহমানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।"

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় দলই ভোটারদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু দলীয় সমর্থনেই থেমে থাকবে না, বরং প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!