দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা ও হামলার ঘটনায় রাজধানীতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে দেয়।
শিক্ষকরা বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে এবং পরবর্তীতে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। হঠাৎ পুলিশের এই হামলায় ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শিক্ষক নেতাদের দাবি, পুলিশের হামলায় বহু শিক্ষক আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, “শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহত হওয়ার কোনো তথ্য আমরা পাইনি।”
পুলিশের বাধায় পদযাত্রা ব্যর্থ হয়ে গেলে শিক্ষকরা আবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে গিয়ে অবস্থান নেন। তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা।
২. চাকরিতে ১০ ও ১৬ বছরের সেবা পূর্তির পরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে কাঠামোগত জটিলতা (পার্থক্য) দূর করা।
৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়া।
আন্দোলনকারীরা জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাতে পদযাত্রা শুরু করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ অযৌক্তিকভাবে হামলা চালিয়েছে। শিক্ষকদের উপর এমন আচরণ অমানবিক।”
এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা শিক্ষকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা কলম সমর্পণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে তাদের কণ্ঠরোধ করেছে।
ঘটনার পর শাহবাগ এলাকা কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
কালের সমাজ/ সাএ


আপনার মতামত লিখুন :